নিজস্ব প্রতিনিধি: ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা ২নং রাজাপুর ইউনিয়নের কোরাইশ মুন্সী বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে দু,ব্যসায়ীকে তিন দিন ধরে আটক রেখে ৪০ হাজার টাকা উৎকোচের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ।
পুলিশ ফাড়ির ইনচাজ এএসআই সাইফুল ইসলাম উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বুধবার তাদেরকে লাইসেন্স বিহীন মোটর সাইকেল চালানোর অভিযোগে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে কোন মামলার ওয়ারেন্ট আছে কিনা তা যাছাই বাছাইয়ের পর ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে ছেড়ে দেওয়া হয় ।

আমজাদ হোসেন ও সোহেল নামের ওই দু”ব্যবসায়ী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, গত ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাদের গ্রামের বাড়ি উপজেলা সিন্দুরপুর ইউপির চন্দ্রপুর গ্রাম থেকে মটর সাইকেল যোগে একই এলাকার পাশ্ববতী আব্দুর নবী গ্রামে আপ্তিয়র বাড়িতে ঈদে বেড়াতে যাচ্ছিলেন । ওই সময় আব্দুর নবী গ্রামে তাদের পথ গতিরোধ করে ফাড়ির ইনচাজ এএসআই সাইফুল ইসলাম।
পরে সঙ্গে থাকা মটর সাইকেল সহ তাদেরকে ফাঁড়িতে নিয়ে যায় । সেই খানে ফাড়ির হাজতে আটক রেখে বিভিন্ন মামলার আসামী করা হবে বলে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের কাছে দু,লাখ টাকা দাবী করে ফাড়ির ইনচাজ সাইফুল ।
দাবীকৃত টাকা দেওয়ার মত তাদের সামর্থ্য না থাকায় বিষয়টি পুলিশ কে জানানো হয় ।
কিন্তু কোন ভাবে মানতে রাজি হননি এএসআই সাইফুল পরে থানার দালাল হিসাবে পরিচিত স্থানীয ইউপির সাবেক মেম্বার আবুল কাশেম তাদের দুজনের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ৪০ হাজার টাকা ঔই পুলিশ কর্মকর্তাকে দিয়ে বুহস্পতিবার দুপুরে তাদেরকে ছাড়িয়ে নেয় ।
তাদের অভিযোগ , আটক ও টাকা আদায়ের বিষয়টি কাউকে জানালে তাদেরকে পরে অন্য মামলায় জড়ানোর হুমকী দেয়। এতে তারা পুলিশ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা প্রকাশ করেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দাগনভূঞা থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, তার কাছে এমন কোন অভিযোগ কেউ করেনি । তবে এই বিষয় তিনি খোজ খবর নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ।