প্রতিবেদক; কিশোর অপরাধী থেকে অস্ত্র ব্যবসায়ী—এমন তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন হলেন রুবেল হোসেন (২২), সোহাগ আলী (২৩) ও মো. সোহাগ (১৯)।
গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাতমসজিদ রোড এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে র্যাব।
র্যাব-২-এর অধিনায়ক লে কর্নেল আনোয়ার উজ জামান দাবি করেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সাতমসজিদ এলাকায় অভিযান চালানো হয়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় তিন যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। রুবেলের কোমরে গোঁজা অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি একটি ৭ পয়েন্ট ৬৫ এমএম পিস্তল, দুটি গুলি, সোহাগ আলীর পরনে প্যান্টের ডান পকেটে ১০০টি গুলি এবং মো. সোহাগের কোমরে গোঁজা প্লাস্টিকের ব্যাগে ৮৫টি গুলি পাওয়া যায়। সোহাগ আলীর বিরুদ্ধে আদাবর থানায় একটি মামলা রয়েছে।

র্যাব সূত্রে জানা গেছে, অস্ত্র বিক্রির জন্য রুবেল, সোহাগ আলী ও মো. সোহাগ সাতমসজিদ রোড এলাকায় রাতে অবস্থান করছিলেন। অস্ত্র ও গুলিগুলো অন্য একটি দলের কাছে বিক্রির কথা ছিল। বিক্রেতাদের ধরা গেলেও ক্রেতারা পালিয়ে যায়। তাদের ধরার চেষ্টা চলছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন জানান, প্রতিবেশী একটি দেশের সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র ও গুলির চালান দেশে আনা হতো। একটি ৭ পয়েন্ট ৬৫ এমএম পিস্তল প্রায় ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। গুলির জন্য আলাদা দাম দিতে হয় ক্রেতাদের।
তবে রুবেল ও মো. সোহাগ অস্ত্র বিক্রির চেয়ে ভাড়াই দিতেন বেশি। একটি ৭ পয়েন্ট ৬৫ এমএম পিস্তল দৈনিক পাঁচ হাজার টাকা থেকে ছয় হাজার টাকায় ভাড়া দিতেন তাঁরা। একটি পিস্তলের সঙ্গে দুটি করে গুলি দেওয়া হতো। অনেকের কাছে আবার সপ্তাহ চুক্তিতে পিস্তল ভাড়া দেওয়া হতো। সে ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দিয়ে একটি পিস্তলের ভাড়া পড়ত ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকায়। গুলির জন্য আবার অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য অস্ত্রের ভাড়া কিছুটা বেশি হয়। ঘটনার গুরুত্ব বেশি হলে ভাড়া আরও বেড়ে যায়। তাঁরা দেশীয় শুটারগান ও পাইপগানও ভাড়া দিতেন।